এটিএম কার্ড কি | এটিএম কার্ড ব্যবহারের নিয়ম | ATM Card In Bengali

এটিএম কার্ড কি : টাকা লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত ইলেকট্রিক মেশিন। একে বলা হয় এটিএম মেশিন। আমরা যেমন বিকাশে টাকা লেনদেন করি।

একইভাবে আপনি এটিএম কার্ডের মাধ্যমে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে টাকা লেনদেন করতে পারবেন।

কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে। যারা এখনও জানেন না এটিএম কার্ড কী, এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার নিয়ম কী আজকের নিবন্ধটি সেই উদ্দেশ্যেই লেখা।

কারণ এটিএম এবং এটিএম কার্ড সম্পর্কে অজানা জিনিস রয়েছে। আজ আমি তার সব ভুল নিয়ে দুঃখজনকভাবে আলোচনা করব। তো চলুন সরাসরি মূল প্রসঙ্গে ফিরে যাই।

এটিএম কার্ড কি (ATM Card ki)

এটি এমন একটি কার্ড যা আপনাকে বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে লেনদেন করতে দেয়। মূলত আমরা আমাদের পকেটে বা মানিব্যাগে টাকা বহন করি।

তবে এর পরে আপনি একটি কার্ড বহন করবেন। আর আপনার যত টাকা আছে। সেই কার্ডে টাকা জমা দেওয়া হবে। মূলত এই ধরনের কার্ডকে এটিএম কার্ড বলা হয়।

এটিএম কার্ড ব্যবহারের নিয়ম

Hints: আজকাল প্রায় অনেকেই এই ধরনের কার্ড ব্যবহার করছেন। কারণ, এই এটিএম কার্ড দিয়ে টাকা লেনদেন করলে কোনো ঝুঁকি নেই।

এটিএম মেশিন কি?

এটিএম কার্ড এবং এটিএম মেশিনের মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে। আমরা অনেকেই দুজনকে গুলিয়ে ফেলি। কিন্তু কার্ড এবং মেশিনের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি এটিএম কার্ডটি আপনার সাথে নিয়ে যেতে পারেন কারণ, এটি একটি ছোট কার্ড।

কিন্তু আমরা যে ATM বুথ দেখি সেগুলোতে ATM মেশিন আছে। যেখানে আপনি আপনার এটিএম কার্ডের মাধ্যমে টাকা তুলতে বা জমা করতে পারবেন।

ATM এর পূর্ণরূপ কি ?

আচ্ছা, আপনাকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, এটিএম এর সমতুল্য কি? তাহলে উত্তরটা বলতে পারবেন? থাকা! তোমাকে বলতে হবে না

বরং এ কথাই বলছি। এটিএম এর পূর্ণ অর্থ হল অটোমেটেড টেলার মেশিন।  Atm full meaning হলো Automated Teller Machine.

এই মেশিনটি এতটাই শক্তিশালী যে এর মাধ্যমে আমরা যেকোনো ধরনের লেনদেন করতে পারি। আর এই মেশিনটি সরাসরি ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত।

ফলে আপনি কোনো ঝুঁকি ছাড়াই এর মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতে পারবেন

এটিএম কার্ড কত প্রকার?

এটিএম কার্ডকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। একটি ক্রেডিট কার্ড এবং অন্যটি ডেবিট কার্ড। এটা জেনে রাখা ভালো যে এই দুই ধরনের কার্ড ভিন্নভাবে কাজ করে।

অর্থাৎ প্রতিটি কার্ড বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়।

তাহলে উপরে আপনি জানেন যে এটিএম কার্ড 2 ভাগে বিভক্ত। উদাহরণ স্বরূপ,

  • ক্রেডিড কার্ড এবং
  • ডেবিট কার্ড

আজকাল এমন অনেক মানুষ আছে। যারা এই দুই ধরনের কার্ড সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না।

তাই এসব নিয়ে একটু সংক্ষিপ্ত আকারে আলোচনা করা উচিত। এটা আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে।

ক্রেডিট কার্ড কি ?

যে কার্ডের মাধ্যমে আপনি আপনার জমা করা টাকার বেশি টাকা লেনদেন করতে পারবেন। সেই এটিএম কার্ডকে ক্রেডিট কার্ড বলা হয়।

উদাহরণস্বরূপ, আপনার একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে এবং সেই অ্যাকাউন্টে 1 লাখ টাকা জমা আছে।

এখন আপনি কেনাকাটা করতে যান এবং দেখুন যে আপনি 1 লাখ টাকার বেশি খরচ করেছেন।

তাই আপনি চাইলে ব্যাংক থেকে আরও টাকা ধার করতে পারেন। তাই এই ধরনের এটিএম কার্ডকে ক্রেডিট কার্ড বলা হয়।

ডেবিট কার্ড কি ?

মোট টাকা আপনার এটিএম কার্ডে জমা হবে। এবং আপনি শুধুমাত্র এই আমানত খরচ করতে পারেন. এই ধরনের কার্ডকে ডেবিট কার্ড বলা হয়।

ক্রেডিট কার্ডে অতিরিক্ত টাকা ধার করার সুবিধা পাবেন। ডেবিট কার্ডে সেই সুবিধা পাবেন না।

এটিএম কার্ডের কাজ কি ?

এটিএম কার্ড এক ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি যা আকারের দিক থেকে খুবই ছোট। আর এই ডিভাইসে আপনি আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন।

অর্থ, আপনাকে আর পকেটে টাকা নিয়ে ঘুরতে হবে না। কারণ আপনি এটিএম কার্ডে আপনার সমস্ত টাকা জমা করতে পারেন।
আগেকার দিনে ব্যাংকের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা জমা দিতে হতো।

কিন্তু এখন আপনি এই এটিএম কার্ডের মাধ্যমে আপনার সময় এবং সুবিধামত টাকা জমা করতে পারবেন।

এছাড়াও প্রয়োজন হলে টাকা তুলতে হবে। তারপরেও আপনি এটিএম কার্ডের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন।

কিভাবে এটিএম কার্ড পাব ?

এখন কথা বলা যাক কিভাবে আপনি এটিএম কার্ড পেতে পারেন। আপনি যদি শুধুমাত্র একটি কার্ডের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতে চান।

তারপর আপনাকে বেশ কিছু কাজ করতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ:

  • সবার আগে আপনাকে একটি Bank Account খুলতে হবে। এটা হতে পারে দেশের যেকোনো ধরনের ব্যাংক।
  • এরপর সেই Bank থেকে একটি এটিএম কার্ড সংগ্রহ করতে হবে।
  • মনে রাখবেন, এই কার্ড নেয়ার সময় আপনার অনেক প্রয়োজনীয় Documents জমা দেয়ার প্রয়োজন হবে।
  • যখন ব্যাংক থেকে আপনাকে একটি Atm Card দেয়া হবে। তখন থেকে আপনি ঐ কার্ডের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতে পারবেন।

আপনি যদি আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সাথে এটিএম কার্ড লিঙ্ক করতে চান। তারপর অবশ্যই এ বিষয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন।

এটিএম কার্ড ব্যবহারের নিয়ম

যখন আপনার এটিএম কার্ড থাকে। তারপর অনেক নিয়ম মেনে চলতে হবে। আপনি যদি এই নিয়ম ভঙ্গ করেন।

তাহলে আপনি অনেক সমস্যার সম্মুখীন হবেন। উদাহরণ স্বরূপ:

  • আপনার হাতে একটি এটিএম কার্ড দেয়ার সময় একটা গোপন Pin Verification Code দেয়া হবে। এই কোডটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনি ছাড়া যেন অন্য কেউ জানতে না পারে।
  • তো আপনি যখন এই কার্ড থেকে টাকা লেনদেন করবেন। তখন আপনাকে একটি ATM Machine এর নিকট যেতে হবে। মানে আপনাকে একটি এটিএম বুথে যেতে হবে।
  • এরপর আপনার এটিএম কার্ডটি সেই বুথে কানেক্ট করে টাকা লেনদেন করতে পারবেন।
  • তবে কিছু কিছু এটিএম মেশিন আছে। যেগুলো থেকে টাকা লেনদেন করার জন্য ATM Card কে সুইপ করাতে হয়। এ বিষয় টা মাথায় রাখবেন।

এটিএম কার্ডের নিয়মকানুন খুব কঠিন মনে হলেও। এই কাজটি তেমন কঠিন নয়। বরং একবার চেষ্টা করলে নিজেই সব বুঝতে পারবেন।

এটিএম কার্ড দিয়ে কিভাবে টাকা তুলতে হয়?

এটিএম কার্ড থাকা মানে সেই এটিএম কার্ড দিয়ে কীভাবে টাকা তোলা যায়।
এটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ এসব কার্ড ভুলভাবে ব্যবহার করলে। তাহলে আপনার কার্ড ব্লক হয়ে যাবে।

তাই এটিএম কার্ড থেকে টাকা ট্রান্সফার করার সময়। তারপর আপনাকে বেশ কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ:

  • সবার আগে আপনাকে একটি ATM Machine এর কাছে যেতে হবে। এবং সেই মেশিনে আপনার কাছে থাকা Card টি প্লেস করতে হবে।
  • এরপর সেই মেশিনে আপনাকে বেশ কিছু নির্দেশনা দিবে। যেমন, আপনি টাকা Cash Out করবেন নাকি Cash In করবেন।
  • এছাড়াও আপনি আসলে কত টাকা লেনদেন করবেন। সেগুলো আপনাকে সিলেক্ট করে দিতে হবে।
  • এবং সম্পূর্ন প্রসেস কমপ্লিট হওয়ার পর আপনার গোপন Pin Code টি দিতে হবে। মনে রাখবেন, এই পিন কোডটি যেন গোপন থাকে।

বলা বাহুল্য, বিভিন্ন ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ডের বিভিন্ন বিকল্প রয়েছে।

কিন্তু আপনি যদি এটিএম মেশিনে দেখানো বিকল্পগুলি দেখেন। তাহলে আপনি খুব সহজেই সবকিছু বুঝতে পারবেন।

এটিএম বুথ থেকে কত টাকা তোলা যায়?

এখন আরও একটি জিনিস আপনার জানা উচিত। অর্থাৎ এটিএম বুথ থেকে কত টাকা তোলা যাবে। কারণ, এখানেও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

যা আপনাকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে। তাহলে এবার সেই সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

দেখুন, বর্তমানে প্রায় সব ব্যাঙ্কই এটিএম কার্ড দিয়েছে। এবং প্রতিটি ব্যাঙ্কের আলাদা আলাদা টাকা তোলার সীমা রয়েছে।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংকে অর্থের পরিমাণ উত্তোলন করতে পারেন। আপনি অন্য কোন ব্যাঙ্কে এই পরিমাণ টাকা তুলতে পারবেন না।

মূলত আপনি এটিএম থেকে কত টাকা উত্তোলন করবেন? এটা নির্ভর করে আপনি আসলে কোন ব্যাঙ্ক থেকে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন তার উপর।

তাই এটিএম কার্ডের জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুললেই। তাহলে এই ব্যাপারটা ভালো করে জানতে হবে।

এটিএম কার্ডের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে করনীয়?

পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়া একটি সাধারণ বিষয়। আমাদের প্রায় সকলেরই কোনো না কোনো কারণে পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়ার অভ্যাস আছে।

কিন্তু যখন একজন ব্যক্তি এটিএম কার্ডের পাসওয়ার্ড ভুলে যান। তখন সে বুঝতে পারে না তার হারিয়ে যাওয়া পাসওয়ার্ড ফিরিয়ে আনতে কী করা উচিত।

কিন্তু মজার ব্যাপার হল, যদি কোনো কারণে আপনি আপনার এটিএম কার্ডের পাসওয়ার্ড ভুলে যান তাহলে আপনি এই পাসওয়ার্ড দুটি উপায়ে ফিরিয়ে আনতে পারেন। উদাহরণ স্বরূপ:

01 | সরাসরি ব্যাঙ্কের সাথে যোগাযোগ করুন: যখন কোনো কারণে আপনি আপনার এটিএম কার্ডের পিন ভুলে যান। তাহলে দেরি না করে সরাসরি ব্যাঙ্কের সাথে যোগাযোগ করুন।

তারপর তারা আপনার কাছ থেকে সমস্ত নথি সহ আপনার অ্যাকাউন্ট পুনরায় সক্রিয় করবে।

02 | হেল্পলাইনে যোগাযোগ করুন: আপনি যদি সরাসরি ব্যাঙ্কে যেতে না চান। আপনি চাইলে ব্যাঙ্কের হেল্পলাইনে কল করে আপনার অ্যাকাউন্ট পুনরায় সক্রিয় করতে পারেন৷

বর্তমানে হেল্পলাইনে যোগাযোগ করার অনেক উপায় রয়েছে।

যেমন, আপনি চাইলে ব্যাঙ্কের মূল ওয়েবসাইট বা ফোন কল থেকে পাসওয়ার্ড ফিরিয়ে আনতে পারেন।

Hints: আপনি পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার করতে তাদের পরিদর্শন করার সময়. তারপর আপনাকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। কারণ, আপনি কি সেই এটিএম কার্ডের মালিক তা আপনাকে প্রমাণ করতে হবে

এটিএম কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো কি কি?

আপনি এটিএম কার্ড ব্যবহার করার বিভিন্ন সুবিধা এবং অসুবিধা দেখতে পারেন। যাইহোক, এই সুবিধা এবং অসুবিধা সবার জন্য এক নাও হতে পারে।

  • কিন্তু এই দিকগুলো আমার দিক থেকে লক্ষ্য করা গেছে তাই এখন সংক্ষিপ্ত আকারে আলোচনা করব।
  • কার্ড ব্যবহার করার প্রধান সুবিধা হলো আপনি এই কার্ডের মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে আপনার চাহিদা মতো লেনদেন করতে পারবেন ৷
  • এর ফলে আপনাকে আর হ্যান্ড ক্যাশ নিয়ে ঘুরতে হবে না। বরং অসংখ্য টাকা আপনি এই কার্ডের মাধ্যমে আদান প্রদান করতে পারবেন ৷
  • ডেভিড কার্ডের দিক থেকে তেমন কোনো অসুবিধা নেই। তবে ক্রেডিট কার্ডে আপনি আরও অতিরিক্ত টাকা উওলন করতে পারবেন। এতে করে আপনার ধার এর পরিমান অনেক গুন বেশি হবে।
  • যদি কোনো ক্রমে আপনার কার্ড এবং কার্ডে থাকা গোপন পিন কোডটি কেউ জেনে যায় ৷ তাহলে কিন্তুু সেই ব্যক্তি আপনার অজান্তেই সেই কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবে।

তাই এটিএম কার্ড ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা আমার নজরে এসেছে।

কিন্তু এটা সব একই অনুভূত হবে. এই ক্ষেত্রে না হয়. বরং একেকজনের কাছে একেক রকম মনে হতে পারে।

এটিএম কার্ড নিয়ে আপনি কি কি শিখলেন?

এটিএম কার্ড সম্পর্কে আজ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে যে বিষয়গুলো আপনার জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণ স্বরূপ:

  • এটিএম কার্ড কি
  • Atm কি
  • বিকাশ এটিএম ক্যাশ আউট চার্জ কত
  • এটিএম কার্ড দিয়ে কিভাবে টাকা তুলতে হয়
  • এটিএম থেকে কিভাবে টাকা তোলা হয়
  • বুথ থেকে টাকা তোলার নিয়ম
  • atm থেকে টাকা তোলার পদ্ধতি
  • atm থেকে টাকা তোলার নিয়ম
  • ডাচ বাংলা ব্যাংক এটিএম বুথ
  • এটিএম কার্ড কিভাবে টাকা তুলব
  • এটিএম কার্ড ব্যবহারের নিয়ম

মুলত আপনি যদি এই আলোচিত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে অবশ্যই উপরের তথ্যগুলো ভালো করে জেনে নিন। আশা করি সহজে সবকিছু বুঝতে পারবেন।

এটিএম কার্ড নিয়ে কিছু অজানা বিষয়াবলি

এটিএম কার্ড সম্পর্কে আরও কিছু অজানা রয়েছে। যেটা জানা আপনার জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মূলত আপনি যদি এই জিনিসগুলি জানেন।

তাই পরের বার আপনার এটিএম কার্ড সংক্রান্ত কোনো সমস্যা আছে। তাহলে আপনি নিজেই এই ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।

০১| Cradit Card ব্যবহার করলে কোনো সুদ দিতে হবে?

হুমম! সুদ দিতে হবে। কারণ ব্যাংক আপনাকে সুদ পেতে এই অতিরিক্ত অর্থ ব্যবহারের সুযোগ দেবে। আর এই সুদের পরিমাণ একেক ব্যাংকে একেক রকম।

এ বিষয়ে সরাসরি ব্যাঙ্কের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। অন্যথায় পরবর্তীতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

০২| ডেবিট কার্ড ব্যবহার করলে কি সুদ প্রদান করতে হবে?

না! আপনি যদি ডেবিট কার্ড ব্যবহার করেন। তারপর আপনি শুধুমাত্র এই পরিমাণ ব্যবহার করতে পারেন. আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যত টাকা জমা হবে।

এবং আপনি এর চেয়ে বেশি ব্যয় করতে পারবেন না। এবং আপনি শুধুমাত্র আপনার নিজের সঞ্চয় ব্যবহার করবেন. ফলে কোনো সুদ দিতে হয় না।

০৩| এটিএম কার্ড হারিয়ে গেলে করনীয় কি?

যদি কোনো কারণে আপনার এটিএম কার্ড হারিয়ে যায়। তারপর আপনাকে বেশ কিছু কাজ করতে হবে। আপনি যদি সেই কাজগুলো সঠিকভাবে করতে পারেন।

তাহলে আপনার কোন সমস্যা হবে না। তাই যখন বুঝবেন আপনার এটিএম কার্ড হারিয়ে গেছে। তারপর আপনার প্রধান কাজ হল আপনার কার্ড ব্লক করা।

  • মাস্টার কার্ড কি?
  • ভিসা কার্ড কি ?
  • ডেবিট কার্ড কি ?

আর এই কাজের জন্য আপনাকে সরাসরি ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করতে হবে। এবং আপনাকে কিছু দরকারী নথি সহ সেই কার্ডটি ব্লক করতে হবে।

এটিএম কার্ড নিয়ে আমাদের শেষকথা 

আজকের নিবন্ধে আমি এটিএম কার্ড নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি এটিএম কার্ড সম্পর্কে আপনার কোন অজানা সমস্যা নেই।

আর এটিএম কার্ড ব্যবহারের নিয়মগুলো ধাপে ধাপে বুঝানোর চেষ্টা করেছি।

কিন্তু তারপরও যদি আপনার এটিএম কার্ড সংক্রান্ত কোনো অজানা বিষয় থাকে। তারপর একটি মন্তব্য করুন.

আমি আপনার সমস্যা সমাধানের জন্য আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করব। বাংলা এটি ব্লগের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Leave a Comment